আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার দ্রুত রায় পাওয়ার আশা সাবেক মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০০৫ সালে দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়। হাইকোর্টের রায়ও হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আপিল বিভাগে মামলাটা আটকে আছে। বিশ্বাস করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে আমরা রায় পাব এবং দণ্ডিতদের রায় কার্যকর হবে।’ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

কামরুল ইসলাম বলেন, আহসান উল্লাহ সত্যিকার অর্থে একজন শ্রমিক নেতা ছিলেন। তিনি শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়েছেন। সেই অপশক্তি যারা তাঁকে হত্যা করেছে, তারা এখনও বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মকাণ্ড মানুষ ভোলেনি। তাদের নেতা নেই। বিদেশে একজন পলাতক। খুনের আসামি যাদের নেতা, সেই দলকে মানুষ গ্রহণ করবে না। নির্বাচন নিয়ে কথা বলে দলটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে।

সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। তিনি বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার সেই রাজনীতিবিদ ছিলেন, যিনি আদর্শ চর্চা করতেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি হারুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গনি মিয়া বাবুল, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ কাজল প্রমুখ।

গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুইদফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেয়ার করুন