দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন। খনি ভূগর্ভে পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক সংকটে পড়ে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় পাথর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে উৎপাদন ঠিকাদার জিটিসি।
গত ৩০ এপ্রিল খনি শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিয়ে পাথর উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংকটে উৎপাদন বন্ধ হয় এবং ২৭ মার্চ চালু হয়েছিল।
ঈদের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার (০৫ মে) উৎপাদন শুরু করার মতো প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক (ডেটোনেটর, কট, জেলসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক মালামাল) না থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দেয় জিটিসি।
খনি সূত্রে জানা যায়, মধ্যপাড়া খনিতে বছরে ৫-৬ কোটি টাকার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
এদিকে বার বার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় এক দিকে জিটিসি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাথর উৎপাদন করতে ব্যর্থ হবে এবং বড় ধরনের লোকসানে মুখে পড়বে। অপরদিকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাবে সরকার এবং খনিটিও আবার লোকসানের মুখে পড়বে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক আমদানির জন্য তিন দফা দরপত্র আহ্বান করলেও কেউ দরপত্র শিডিউল পর্যন্ত ক্রয় করেনি। তাছাড়া সরকারি নানা নিয়মনীতি মেনে আমদানি করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া চলে। তবে পেট্রোবাংলার সহায়তায় ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিস্ফোরক নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
এমজিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) মীর পিনাক ইকবাল বলেন, খনির পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে খুব শিগগিরই তা নিয়ে আসা হবে ও খনির পাথর উৎপাদন শুরু করা হবে।