নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ মে থেকে ভোটার তালিকার কাজ শুরু করবে। তিন সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ছবি, বায়োমেট্রিক ও চোখের আইরিশের জন্য কেন্দ্র ঠিক করে সেখানে নেওয়া হবে।
শনিবার (৭ মে) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে গত বছর নতুন ভোটারদের তথ্য নিতে পারেনি ইসি। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য নেওয়া হবে।
ইসির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ২ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। এ হিসাবে এখন দেশে মোট ভোটারের ৫০ দশমিক ৯২ শতাংশ পুরুষ আর নারী ৪৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত এক বছরে (১৯ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত) নতুন ভোটার হয়েছেন ১৪ লাখের কিছু বেশি। এর ৬৯ শতাংশই পুরুষ, নারী মাত্র ৩১ শতাংশ।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে কেউ নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে ভোটার হতে পারেন। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করলে সহজেই ভোটার হওয়া যায়। কোনো তদন্ত লাগে না। নির্ভুল এনআইডি পেতে ভোটারদের লক্ষ্য রাখতে হবে ফরম-২’তে। এখানে তথ্য ভুল দিলে জাতীয় পরিচয়পত্রেও ভুল আসছে। এই সময়ের মধ্যে ভোটারের এলাকার স্থানান্তর করতে পারবেন। আর মৃত ভোটারদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।