জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, জনগনের মাঝে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা ও তৃণমূলে ভোট বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দলে শৈথিল্যতা রয়েছে। তাই নির্বাচনে মোকাবেলা করতে হলে দলকে তৃণমূলে বিস্তৃত করে সাংগঠনিক ভীতকে আরো মজবুত করতে হবে।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বপন আরও বলেন, দলের মধ্যে যেসব সমস্যা ও প্রতিযোগিতা রয়েছে তা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন চান।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। তাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার দায়িত্ব দলের নেতাকর্মীদের। সেই জায়গা তৈরির করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান হুইপ।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকগুলো উপজেলার সম্মেলন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু কয়েকটি উপজেলায় এখনও সম্মেলন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। বাস্তব অসুবিধার কারণেই আমরা নবীনগর, আশুগঞ্জ এবং সরাইল উপজেলা সম্মেলন করতে পারি নাই। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কোন্দল এগুলোর কারণে আমরা করতে পারি নাই। তারপরও আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নাই, অগ্রগতিও আছে; একেবারে অগ্রগতি নেই, একথাও বলা যাবে না, সেটা নবীনগরেও আছে, আশুগঞ্জে আছে, সরাইলেও আছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আমরা মারাত্মক রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছি। আমরা পছন্দ করি অথবা না-ই করি কথাটি সত্য। এটি একেবারেই তৃণমূলের যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমাদের আছেন, সেখানকার নেতৃত্বের মনোভঙ্গির জন্য এমনটা হয়েছে, তারাও দীর্ঘদিন যাবৎ আছেন, কেউ ১৭ বছর, কেউ ১৮ বছর এবং তাদেরকে আমরা অসন্তুষ্ট করতে চায়নি, না চাওয়াতে তারা মনে করেছে তারা অপরিহার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেক্ষাপটে মনোনয়ন মোকতাদির দিয়েছে, সুতরাং এটার বিরোধিতা করলে কিছু হবে না, কিন্তু মনোনয়ন তো আমি দেই না, এটি দেন শেখ হাসিনা। তৃণমূলের অনেকে নিজেদেরকে অপরিহার্য মনে করায় অনেক জায়গায় আমরা সহযোগিতা পায়নি এবং তৃণমূলে ব্যপকভাবে বিদ্রোহ হয়েছে, এই বিদ্রোহের কারণে আমরা পরাজয় বরণ করেছি। সুতরাং তৃণমূলের কর্মকাণ্ডকে সুদৃঢ় করার জন্য নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আমি পক্ষপাতি। তাছাড়া আমাদের সামনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনটি হলো জাতীয় নির্বাচন, যেটি হতে আর দেড় বছর বাকি, এমতাবস্থায় তৃণমূলকে শক্তিশালী না করা হলে আমরা সেই নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা কঠিন হবে।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদস্য উম্মে ফাতেমা বেগম নাজমা শিউলি আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মিসেস নায়ার কবির, তাজ মোঃ ইয়াছিন সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।