রাজবাড়ীতে হচ্ছে রেল কোচ মেরামত কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেল কোচ মেরামত কারখানা
রেল কোচ মেরামত কারখানা। ফাইল ছবি

রাজবাড়ীতে হচ্ছে নতুন কোচ মেরামত কারখানা। এ জন্য ৩০ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ীতে একটি নতুন ক্যারেজ মেরামত কারখানা নির্মাণের জন্য বিশদ নকশা ও দরপত্র দলিল তৈরিসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে এ মেরামত কারখানা নির্মাণ প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন নাগাদ। এখন ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রথমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৪ নাগাদ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই মধেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. কুদরত-ই-খুদার সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে। সমীক্ষা কার্যক্রমের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২১ জুন ইনভাইটেশন ফর এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) আহ্বান করা হয়। ইওআই ক্লোজিং ডেট ছিল ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইওআই প্রস্তাব দাখিলের সর্বশেষ তারিখ দুই বার বাড়ানো হয়। এতে ১৪টি প্রতিষ্ঠান ইওআই প্রস্তাবনা দাখিল করে। প্রস্তাবনাগুলো যাচাই-বাচাই করে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। শর্টলিস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি হওয়ায় করোনা মহামারি রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলি চলাচলে বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে তিন বার সময় বাড়ানো হয়।

ফলে নানা কারণে এখনো কনসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে এবং কন্ট্রাক্ট এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন করতে করতে ১ থেকে ২ মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। অনুমোদিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনের পর ১৬ মাসের মধ্যে বিশদ নকশা ও দরপত্র দলিল তৈরিসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। সে হিসেবে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনসহ করোনা মহামারি বিস্তার বা অন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি বিবেচনায় আনুমানিক আরও দুই বছর সময় প্রয়োজন হতে পারে, বিধায় এ প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

শেয়ার করুন