২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক মিলিয়ে মোট ৮৫ জনকে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আজ ১১ মে, বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এসএসসি) সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়। এতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার একটি চেক ও একটি সম্মাননাপত্র পাবেন বলে জানান তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে কখনও আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হয়নি। এবারই প্রথম তা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন মঙ্গলবার।
দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের জন্য ৪৯ জন, ২০১৪ সালের জন্য ৫৩ জন, ২০১৫ সালের জন্য ৩০ জন, ২০১৬ সালের জন্য ৩৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ৩৯ জন, ২০১৮ সালের জন্য ৫৮ জন, ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ৭৮ জনসহ মোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক আবেদন করেছিলেন।
আবেদন সংগ্রহের পর তথ্য যাছাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে তিনটি কমিটি গঠিত হয়। অতিরিক্ত সচিবের (ক্রীড়া) নেতৃত্বে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। যা পরবর্তীতে সচিবের নেতৃত্বে গঠিত বাছাই উপ-কমিটি ওয়ার্কিং কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির কাছে সুপারিশ আকারে উপস্থাপন করে।
জাতীয় বাছাই কমিটি চূড়ান্তভাবে ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালে ১০ জন, ২০১৫ সালে ১১ জন, ২০১৬ সালে ১৩ জন, ২০১৭ সালে ১১ জন, ২০১৮ সালে ১০ জন, ২০১৯ সালে ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনসহ মোট ৮৫ জনকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের জন্য সুপারিশ করে।