খুলনার তিন দোকানে মিললো ২ লাখ ২২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা মহানগরের বড় বাজার এলাকার ৩টি তেলের আড়তে দুই লাখ ২২ হাজার লিটারের বেশি ভোজ্যতেল মজুত অবস্থায় পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৪২ হাজার লিটার অতিরিক্ত তেল মজুত রাখায় তিন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন র‍্যাব-৬ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

universel cardiac hospital

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন পাইকারি দোকানদার তাঁর গুদামে ৩০ দিন পর্যন্ত ৩০ হাজার লিটার করে সয়াবিন তেল ও পাম তেল মজুত রাখতে পারবেন। ২০১১ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা এখনো বলবৎ। অভিযানে সোনালী ট্রেডার্সে ৬১ হাজার লিটার (৩০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ৩১ হাজার লিটার পাম তেল) ভোজ্যতেল মজুত অবস্থায় পাওয়া যায়। এক হাজার লিটারের মতো অতিরিক্ত ভোজ্যতেল মজুত থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দেবাশীষ বসাক বলেন, শাহ ট্রেডিং নামের অন্য একটি দোকানে ভোজ্যতেল মজুত ছিল ৯৩ হাজার লিটার (৩০ হাজার লিটার সয়াবিন ও ৬৩ হাজার লিটার পাম তেল)। ৩৩ হাজার লিটার অতিরিক্ত তেল মজুত করার অপরাধে ওই দোকানমালিককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া একই বাজারের রনজিত বিশ্বাস অ্যান্ড সন্স নামের আরেকটি দোকানে মজুত অবস্থায় তেল পাওয়া যায় ৬৮ হাজার লিটার (৩০ হাজার লিটার সয়াবিন ও ৩৮ হাজার লিটার পাম তেল)। ওই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ওই তিন দোকানে মজুত থাকা তেল তিন দিনের মধ্যে নির্ধারিত দামে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক।

অভিযানের বিষয়ে খুলনার বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ দেওয়ান বলেন, বড় বাজার বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র। এখান থেকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি তেল বিক্রি হয়। বাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার লিটার পর্যন্ত তেল বিক্রি করেন। সে হিসাবে তিনটি দোকানে মজুত থাকা তেল দিয়ে ১০ দিনেই শেষ হয়ে যেত। তিনি দাবি করেন, খুলনায় কোনো অবৈধ মজুতদার নেই। তেল ব্যবসায়ীরা সপ্তাহে এক দিন ঢাকা থেকে ট্রলারে করে ২০০ থেকে ৩০০ ড্রাম তেল আনেন। সেগুলো সারা সপ্তাহ ধরে বিক্রি করেন। এখানেও তাই হয়েছে। দোকানদারেরা জানতেন না ৩০ হাজার লিটারের বেশি তেল গুদামে রাখা যাবে না। এ কারণেই ওই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করুন