উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিয়ংইংয়ে ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। তবে কতজন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তা বলা হয়নি।
কেসিএনএ বলছে, এটি ছিল ‘সবচেয়ে বড় জরুরি ঘটনা’ এবং নেতা কিম জং উন কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। তবে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, দেশটিতে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।
উত্তর কোরিয়া দেশটির নাগরিকদের করোনাভাইরাসের কোনো টিকা দেয়নি। যদিও সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল দেশটি। দেশটি নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রেখে এ ভাইরাস ঠেকানোর পদ্ধতি অবলম্বন করে এসেছে এতদিন। এতে দেশটির অর্থনীতি, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও খাদ্য পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে।
মহামারি শুরুর পর দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও সরকারিভাবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
প্রতিবেশী চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এ ভাইরাস সামলেছে। বর্তমানে করোনার অমিক্রন ধরন সামলাতে লড়াই করছে বেইজিং।
গত বছরের জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনা সংক্রান্ত ‘গুরুতর ঘটনার’ জন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছিলেন কিম। এর পর সেপ্টেম্বরে হাজমাত স্যুট ও মাস্ক পরা একদল সেনা সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
এটি দেখার পর কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের একেবারে শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তখন থেকেই উত্তর কোরিয়া বলে আসছিল, সেখানে করোনার অস্তিত্ব নেই।