নির্বাচন কমিশন (ইসি) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে (ভোটাররা যেখানে ভোট দেন, সেই গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। সেখানে কোনো অনিয়ম হলে পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ইসি আলমগীর বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন বা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোটগণনা শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ক্যামেরা থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোটগণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধিকে নির্বাচনের প্রতিটি স্তরে রাখতে হবে। এটা আমাদের আইনেই আছে।
ইসি আলমগীর জানান, কুমিল্লা সিটির নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজ থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১৫ মে থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১১ মে) পর্যন্ত কুসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কুসহ ১৬৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন চারজন। তারা হলেন- মনিরুল হক সাক্কু, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম ও কামরুল আহসান বাবুল।
এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৩০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে, বাছাই ১৯ মে, আপিল ২০-২২ মে, আপিল নিষ্পত্তি ২৩-২৫ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।