সংকটময় পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। ৭৩ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এ রাজনীতিবিদ শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা। কিন্তু দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী হতে আগ্রহী বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাও। কিন্তু প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এখন আর সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে না।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রধান বিরোধী দল সামাজি জানা বালাওয়েগয়ার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে জানিয়েছেন, রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন আর বদলাবেন না তিনি। একই সঙ্গে এসজেবি নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্বের পোর্টফোলিও গ্রহণ করতে প্রস্তুত কিনা তা দেরি না করে দ্রুত জানানোর আহ্বানও জানান গোতাবায়া।
কার্যত অচল হয়ে পড়া শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর সিদ্ধান্ত নেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব দেওয়ার। এর আগে প্রেমাদাসা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন গোতাবায়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেবেন না তিনি। যদিও পরে প্রেমাদাসা প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু গোতাবায়া এখন তার সিদ্ধান্তে অটল। রনিল বিক্রমাসিংহেই থাকছেন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
তিনি আরও বলেন যে গুরুতর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মন্ত্রিসভা নিয়োগে আর বিলম্ব করা যাবে না এবং শিগগির তার সিদ্ধান্ত জানাতে প্রেমাদাসাকে অবহিত করেছেন।
মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কে হবেন শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? এর মধ্যেই গত বুধবার গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তারপর থেকেই খবর আসতে থাকে আগে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রনিল বিক্রমাসিংহেই দেশের হাল ধরতে চলেছেন।
সর্বপ্রথম ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রমাসিংহে। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল, ২০১৫ থেকে ২০১৫ (১০০ দিন), ২০১৫ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন দেশের অর্থনীতি কতটা পুনরুদ্ধার করতে পারেন এই রাজনীতিক সেটাই দেখার বিষয়।