‘অর্থ পাচারে আওয়ামী লীগের লোকদের জড়িত থাকার’ বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে বলে দাবি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। ‘সত্য স্বীকার করায়’ ক্ষমতাসীন দলের ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদরের বাসুদেবপুর এলাকায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপির নিহত দুই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে ধন্যবাদ জানান ফখরুল।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে থেকেও কোটি কোটি টাকা পাচার করে, এরা কারা? এদের চিহ্নিত করতে হবে।
মির্জা ফখরুলের ভাষ্য, বলপ্রয়োগের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাননি। তারা জোর করে ভোট আয়োজনের চেষ্টা করায়, কোথাও কোথাও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে চাইলে এই সরকারের পদত্যাগ চান বিএনপির মহাসচিব। তাঁর ভাষ্য, এ দেশে নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কখনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সম্প্রতি সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই একজন বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করার কারণই হলো, তিনি ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দায় নিয়ে শুধু বাণিজ্যমন্ত্রী নয়, সরকারেরও পদত্যাগ করা উচিত।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন সংকট বাংলাদেশেও অচিরেই দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ, এখানেও একইভাবে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশে এত বেশি ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, যা মাথাপিছু ৪৭২ ডলারে করে পড়ে গেছে। এখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে। তখন মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে।