বাংলাদেশ সমর্থকরা আফসোস করতেই পারেন! অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের আউটসাইড এজটা যদি লিটন দাস বা খালেদ আহমেদের কেউ টের পেতেন, তাহলে হয়ত চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শুরুর চিত্রটা ভিন্ন হত। তবে সেটা হয়নি, ব্যক্তিগত দেড়শর দিকে ছুটে চলেছেন ম্যাথিউস, আর ফিফটি করে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন দীনেশ চান্দিমাল। তাতেই তিনশ পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। তবে লাঞ্চের আগে নাঈমের জোড়া আঘাতে আবারও ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।
অথচ চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ম্যাথিউসকে ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। সোমবার দিনের চতুর্থ ওভারেই খালেদ আহমেদের বল ম্যাথিউসের ব্যাট ছুঁয়ে ঠাই পায় উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসে গ্লাভসে, তবে সেই সূক্ষ্ম ব্যাটের ছোঁয়া আম্পায়ার বা বাংলাদেশ দলের কেউই বুঝতে পারেননি। তাই সরাসরি আউটের সিদ্ধান্ত বা রিভিউ কোন কিছুরই প্রশ্ন ওঠেনি। ব্যক্তিগত ১১৯ রানে সবার অগোচরেই নতুন জীবন পেয়ে যান ম্যাথিউস।
দলকে তিনশ রানের ওপারে পৌঁছে দিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি চান্দিমাল। ইনিংসে নাঈম হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন। অফ স্ট্যাম্পে পিচ করা বলকে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন চান্দিমাল, তবে বলের লাইন মিস করায় তা গিয়ে আঘাত হানে পায়ে। মাঠের আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে জানিয়ে দেন আউট, রিভিউ নেন চান্দিমাল। তবে বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল সরাসরি গিয়ে স্ট্যাম্পেই আঘাত হানত। তাই রিভিউ হারিয়ে ব্যক্তিগত ৬৬ রানে ফিরে যেতে হয় চান্দিমালকে।
চান্দিমালকে ফেরানোর পর সেই ওভারেই নতুন ক্রিজে আসা নিরোশন ডিকওয়েলাকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন নাঈম। মিডল স্ট্যাম্প লাইনে পিচ করা লেংথ বলকে স্ট্যাম্পে টেনে এনে মাত্র তিন রানেই ফিরে গেছেন ডিকওয়েলা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৭ রান। ১৪৭ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন ম্যাথিউস, আর তাকে সঙ্গ দিতে এখন উইকেটে এসেছেন রমেশ মেন্ডিস।