দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। কারণ সে (পি কে হালদার) এ দেশের চিহ্নিত অর্থপাচারকারী।
সোমবার (১৬ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
দেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম পি কে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার- দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কোন ধরনের দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীকে প্রশ্রয় দেবো না। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে আমরা খুবই সিরিয়াস।
হাইকোর্টের মন্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পি কে হালদারকে গ্রেফতারে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। মানিলন্ডারিং মামলায় গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গত শনিবার (১৪ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ৩৭ মামলার আসামি ও এনারবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদার এবং তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতারের তথ্য জানায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে এ খবর প্রকাশের পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, পি কে হালদারের গ্রেফতার বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না।
এরইমধ্যে পি কে হালদারকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হলে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাচ সহযোগীকে গ্রেফতারের পর এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছিল, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি অশোক নগরের ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।