অবশেষে লিডের খাতা খুললো বাংলাদেশ। ১৪০ ওভার পেরিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করা ৩৯৭ রান পার করেছে টাইগাররা। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মুশফিকুর রহিম।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪২১ রান। মুশফিক ৯৩ আর নাঈম ০ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে সাকিব উইকেট হারিয়েছেন ২৬ রান করে।
কাছে এসে সেঞ্চুরি মিস করেছেন লিটন দাস। মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাসুন রাজিথার প্রথম বলেই শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন তিনি। ১৮৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে আসেন আগের দিন ১৩৩ রানে আহত অবসরে যাওয়া তামিম ইকবাল। সুযোগ ছিল তারও ইনিংসটা বড় করার। কিন্তু রাজিথার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান তামিম। টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিক আর সাকিব।
এর আগে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে বেশি সময় নেননি মুশফিকুর রহিম। দিনের ১৬তম ওভারেই দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে করে ফেলেছেন টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রান।
আগের দিন করা ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২৭ ওভার খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকেই মুশফিক-লিটন যোগ করেছেন ৬৭ রান। এ দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটির সংগ্রহ ১৬৫ রান। যা টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ।
পাঁচ হাজারি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিক আজ দিনের শুরুতে খানিক সময় নেন। অন্য প্রান্তে লিটন ছিলেন সাবলীল। দিনের দ্বিতীয় বলে তার ব্যাট থেকে আসে প্রথম চার। মুশফিককে প্রথম বাউন্ডারির জন্য সপ্তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। নিয়ন্ত্রিত সুইপে চার মেরে মাইলফলকের কাছাকাছি পৌঁছান তিনি।
পরে কাসুন রাজিথার করা দিনের ১৬তম ও ইনিংসের ১২৩তম ওভারে ফাইন লেগ থেকে দুই রান নিয়ে মুশফিক প্রবেশ করেন পাঁচ হাজারি ক্লাবে। যা করতে তার লাগলো ৮১ টেস্টের ১৪৯ ইনিংস। বিশ্বের ৯৯তম ব্যাটার হিসেবে মুশফিক এই ফরম্যাটে পাঁচ হাজার রান করলেন।
মাইলফলক ছোঁয়ার পরেও হাত খুলে খেলার চেষ্টা দেখা যায়নি মুশফিকের মধ্যে, লিটনও খেলতে থাকেন দেখেশুনে। যে কারণে প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ওভারপ্রতি আড়াই রানের বেশি করতে পারেনি।