দেশে চক্ষু চিকিৎসা অনেক এগিয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চক্ষু চিকিৎসায় আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক মানের চোখের সেবা দেওয়া হয়। তবে আমাদের জনবলে ঘাটতি আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও তৈরি করতে হবে। চক্ষু চিকিৎসায় উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে চক্ষু চিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ডায়াবেটিসের কারণে চোখের সমস্যা বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুষ্টির ঘাটতি, উচ্চরক্তচাপ ও চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ। এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে। কর্ণিয়াসহ অঙ্গ ডোনেশনে ঘাটতি রয়েছে। এখনো ছানির কারণে অনেকে অন্ধত্ব বরণ করে। আমরা তা জানাতে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।
স্বাস্থ্যখাতে সরকার অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছেছে। ইপিআই কর্মসূচি সারাবিশ্বে প্রশংসিত। টিকা কার্যক্রমের সফলতায় করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার শুরুতে অনেক সমালোচনা হলেও সবাই এখন প্রশংসা করে। গত এক মাসে ভাইরাসটিতে একজনও মারা যায়নি। জিডিপি আজ ৬ শতাংশ। এখন যে কোনো দেশে যেতে পারি, করোনার সার্টিফিকেটও লাগে না।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আমেরিকার থেকেও এগিয়ে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য যে কোনো দিকে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ এদিকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উন্নত হয়েছে। তারা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে। তারা আমাদের অভিজ্ঞতা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়।
দেশের আট বিভাগে আটটি হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান আছে ৷ এসব বিভাগে বার্ন হাসপাতাল হচ্ছে। এ বছরেই জেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস ও আইসিইউ বেড চালু হবে। এ জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা দরকার। চারটি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে। এসব প্রস্তাব একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।