পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। বুধবার জোটের সদর দফতরে এই আবেদন হস্তান্তর করা হয়। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দুইটি। আনুষ্ঠানিক আবেদনের ফলে তা অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে অনেকেই আশা করছেন।
স্নায়ুযুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে নিরপেক্ষ থেকেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। আর তাদের ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তা প্রকৌশলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে নর্ডিক অঞ্চলে জনমতের পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়েছে।
ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে আবেদনপত্রের চিঠি জোটের মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গের কাছে হস্তান্তর করেন সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। এরপর ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’
জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোতে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আবেদনকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং ন্যাটোতে আপনার সদস্যপদ আমাদের যৌথ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।’ ন্যাটো মনে করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন জোটভুক্ত হলে বাল্টিক সাগরে নিরাপত্তা জোরদার হবে।
দেশ দুইটির এই আবেদন জোটভুক্ত ৩০ দেশের পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় এক বছর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
তবে গত কয়েক দিন ধরে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক বলে আসছে তারা ন্যাটো ও সুইডেনকে সদস্যপদ দেওয়ায় সমর্থনের বিষয়ে রক্ষণশীল থাকবে। বুধবারের অনুষ্ঠানে জোটের মহাসচিব বলেন তিনি মনে করেন ইস্যুটি সমাধান হয়ে যাবে।
জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা সবসমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ অন্য মিত্রদের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: রয়টার্স