বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবিত কাঠামোর আওতায় বিভিন্ন ফোরামের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার পাশাপাশি অমীমাংসিত বিষয় ও চ্যালেঞ্জের সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী জুলাইয়ে প্রস্তাবিত কাঠামো গঠন হতে পারে।
আজ বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ওনার (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) দিক থেকে একটা প্রস্তাব ছিল যে অতীতে যে সংলাপগুলো হয়েছে ও ভবিষ্যতে হবে, সময়-সময় সেগুলোর পর্যালোচনায় একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু করা। নতুন ওই কাঠামোর আওতায় অনিষ্পন্ন বিষয়ের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা করা। হয়তো জুলাই থেকে করব। যে প্রস্তাব করা হয়েছে, নীতিগতভাবে তাতে কোনো সমস্যা দেখি না।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এ ধরনের কাঠামো থাকার প্রসঙ্গ টেনে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ ধরনের মেকানিজম অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের আছে। জাপানের সঙ্গে আছে, ভারতের সঙ্গে আছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে লাইন অব ক্রেডিট নিয়ে ভারত নিয়মিত বৈঠক করে থাকে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়াশিংটনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের এক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছে। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ব্যবসায়ী সংলাপ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পার্টনারশিপ ডায়ালগ, নিরাপত্তা ডায়ালগ, ডিফেন্স ডায়ালগ, টিকফা ও উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ চলমান।
