টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে শেষ হওয়ার আগেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৮০ পয়েন্টে পড়ে গেছে। আর লেনদেনে হয়েছে দুইশ কোটি টাকার কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে বড় পতন হয়েছে মূল্য সূচকের।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। এতে লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৫ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লে সূচকের পতনের মাত্রা কিছুটা কমে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচকটি কমে ৯ পয়েন্ট।
অবশ্য এরপর আবার একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে আবার সূচকের বড় পতন হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৯ পয়েন্ট পড়ে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩১ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমেছে।
এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮ লাখ টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ১০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।