চীন-পাকিস্তান সীমান্তে এস-৪০০ মোতায়েন করছে ভারত : পেন্টাগন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এস-৪০০

আগামী জুন মাসে চীন-পাকিস্তান সীমান্তে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারত। মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে এমনটাই দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। এর মাধ্যমে ভূমি থেকেই আকাশ পথের প্রতিপক্ষের হামলা ঠেকানো যায়।

এস-৪০০ নিয়ে সিনেট আর্মড সার্ভিস কমিটির সভায় বিবৃতি দেন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট ব্যারিয়ার। বিবৃতিতে কমিটির সদস্যদের তিনি জানান, রাশিয়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠানো শুরু করে এবং আগামী জুনের মধ্যেই তা চীন-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করবে ভারত।

universel cardiac hospital

রাশিয়ার সঙ্গে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চুক্তি করেছে ভারত। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠাতে থাকে রাশিয়া। এর পাঞ্জাবে এস-৪০০ মোতায়েন করাও হয়েছে। চলতি মাসেই দ্বিতীয় এস-৪০০ ভারতে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে এবং চুক্তি মোতাবেক ২০২৩ সালের মধ্যেই অত্যাধুনিক পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে।

ভারতে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আমদানি নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছে তারা। কিন্তু ভারত তার সিদ্ধান্তে অটল, রাশিয়া থেকে রাশিয়া থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা হবে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে পাত্তা দিবে না নয়াদিল্লি।

বিজনেস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত্রু বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এডব্লিউএসিএস বিমান প্রতিরোধে সক্ষম এমন চারটি ভিন্নধর্মী বিমান নিয়ে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এত রয়েছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার, দূর পাল্লার নজরদারি রাডার, উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করার সক্ষমতা এবং যে কোন বিপদ সংকেত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে পৌঁছানোর সক্ষমতা। এটি সকল বিষয়ের পাঠ নিয়ে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান বিবেচনা করে শত্রু পক্ষের হামলা ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আলমাজ আন্তে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রস্তুতকারক। এস-৪০০ মূলত এস-৩০০ এর আপডেট সংস্করণ। পূর্বে এই ব্যবস্থা শুধু রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছেই ছিল।

শেয়ার করুন