রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গড়িয়েছে তৃতীয় মাসে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সুবিধা করতে না পারলেও পূর্বের শিল্পাঞ্চল ডনবাসকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, দখলকারীরা আরও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। সেখানকার অবস্থা নারকীয় আর এটি অতিরঞ্জন নয়। তিনি বলেন, ডনবাস পুরোপুরি ধ্বংস। তিনি আরও বলেন, এটি ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা, বাড়িঘর ধ্বংস, সামাজিক সুবিধা ও কার্যক্রমকে ধ্বংস করার ইচ্ছাকৃত ও অপরাধমূলক অপচেষ্টা। তিনি রাশিয়ার নৃসংশ হামলায় একদিনে সে অঞ্চলে ১২ জন নিহত ও ডজনখানেক মানুষ আহত হন বলেও জানান।
রুশ বাহিনীর বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা থেকে এর আগে ডনবাসের মানুষজনকে ইউক্রেনের পশ্চিম অংশে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ নিলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি সম্ভব হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ডনবাস বলেন, তখন তিনি বোঝান ইউক্রেনের পুরোনো ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাটিকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সমগ্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক মিলিয়ে একটি বড় অঞ্চল। প্রধানত রুশ-ভাষী এই এলাকাটিকে ‘মুক্ত করার’ কথা বার বার বলে আসছেন পুতিন।
পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান