বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতির আবৃত্তি সন্ধ্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-ভারতের আবৃত্তি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘আমরা ভাষায় এক, ভালোবাসায় এক’ শীর্ষক সম্প্রীতির আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ভারতের আগরতলার শ্রুতি বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক শাহ্গীর আলম সম্প্রীতির আবৃত্তি সন্ধ্যা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে সংগঠনের খুদে শিক্ষার্থীরা একটি দলীয় কবিতা পরিবেশন করে।

তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্যরা দলগতভাবে কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। শ্রুতি বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক স্মিতা ভট্টাচার্যও নজরুলের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর শ্রুতি বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্রের ১৩ সদস্যের দল একটি দলীয় কবিতা আবৃত্তি করে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতিভূষণ দেবনাথ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী আবদুল কুদ্দুস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মনির হোসেন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির প্রত্যয় নিয়ে ভারতের শ্রুতি ও বাংলাদেশের তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সম্প্রীতির আবৃত্তি অনুষ্ঠানটি ব্যতিক্রম আয়োজন। এটি উপভোগ করার মতো। দুই দেশের শিল্পীদের মিলনমেলা ছিল এই অনুষ্ঠান। দুই দেশে শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার এই প্রয়াস সফল হয়েছে। ভবিষ্যতেও নিশ্চয়ই আয়োজকেরা এ ধারা অব্যাহত রাখবেন।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গীতের তালে তালে দুই দেশের শিল্পীদের কবিতা আবৃত্তি মনোমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন সবাই। আবৃত্তির পাশাপাশি অনুষ্ঠানে গানও পরিবেশন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে শ্রুতি বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্রের ১৩ সদস্যের দল বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী স্মিতা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসে। তাদেরকে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এর আগে ২০২০ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রথম এ ধরনের আয়োজন করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ভারতের শ্রুতি বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্র।

শেয়ার করুন