ট্রেলার বিতর্ক: যা বললেন শ্যাম বেনেগাল

বিনোদন প্রতিবেদক

‘মুজিব’ বায়োপিকের ট্রেলার প্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল নির্মাণ করেছেন ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’ সিনেমা। কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসরের তৃতীয় দিন ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ পায়। এরপর এই ট্রেলার ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে। ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ট্রেলারটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্ররূপায়ণকে পর্দায় দেখে হতাশ হয়েছেন সিনেমাসংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক। বঙ্গবন্ধু চরিত্রে আরিফিন শুভর কণ্ঠ, ভিএফএক্স, ইতিহাসের সঙ্গে ট্রেলারের দৃশ্য না মেলার মতো অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে দাবি করে হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে এবার মুখ খুললেন এই সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

universel cardiac hospital

শুধু ট্রেলার দেখে পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল বলেন, ‘মানুষ এখনো পুরো সিনেমা দেখেনি। ৯০ সেকেন্ডের ট্রেলার দেখে তো আপনি পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি শুধু ট্রেলার নিয়েই মন্তব্য করতে পারেন।’

শ্যাম বেনেগাল আরও বলেন, ‘নানা মন্তব্য এসেছে বলে আমি শুনেছি। তাঁরা কেন বিরক্ত, তা অনুমান করা আমার পক্ষে খুব কঠিন। সোমবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি আবার আমি দেখব। কানে ট্রেলারের উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল। সেখানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও তাদের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।’

ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে শ্যাম বেনেগালের কাজের অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও সত্যজিৎ রায়কে নিয়েও তিনি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ওপর ‘বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’ নামে সিনেমা তৈরি করে আদালতে যেতে হয়েছিল। কারণ, এই সিনেমায় বোসকে বিয়ে করতে দেখানো হয়েছিল, যা অনেকের কাছে অসম্মানজনক এবং ভুল বলে মনে হয়েছে।

সিনেমার শুটিংয়ের সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন এবং সিনেমার সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই বাংলাদেশের জানিয়ে নির্মাতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলার উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশিরা গর্ব অনুভব করেন। সিনেমায় এই সবই আছে। এ কারণে আমি শুধু বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়েছিলাম; কারণ তাঁরা মুজিবকে অনেক কাছ থেকে অনুভব করবেন।

শেয়ার করুন