ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ‘ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুলের দাবি, আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাণ্ডব শুরু করেছেন। পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার জীবননাশের যে হুমকি দিয়েছেন, ছাত্রদল প্রথম দিনই এর প্রতিবাদ করেছে, গতকালও করেছে। সেখানেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছেন, হুমকি দিয়েছেন। ছাত্রদলকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকালের সভার সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল আরও বলেন, আজ সকালে ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং ভয়াবহভাবে তারা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের ওপর আক্রমণ করে। আমরা খবর পেয়েছি, শহীদুল্লাহ হলে দুজন ছাত্রকে আটকে রেখেছে। যারা বিনা উসকানিতে হামলা করেছে, আহত করেছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
গতকালের সভা নিয়ে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া, ড. ইউনূসসহ দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সম্পর্কে শেখ হাসিনা যে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা মনে করে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির শামিল। অনির্বাচিত সরকারের প্রধান হিসেবে এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ইউনূস। তাঁকে নিয়েও তিনি একই ধরনের হুমকি দেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। বিএনপি এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
মির্জা ফখরুল জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায়। ওই সভায় বৃহত্তর সিলেটে সাম্প্রতিক বন্যায় দুর্গত জনগণের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।