২৮ জুন বাংলাদেশ-ইইউ রাজনৈতিক সংলাপ

মত ও পথ রিপোর্ট

আগামী ২৮ জুন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ হবে। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ইইউ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল এনরিকে মোরা। তবে এর আগে নিরাপত্তা সংলাপ করতে চায় ইইউ। এই উদ্যোগে আপত্তি নেই বাংলাদেশেরও।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রথমবারের রাজনৈতিক সংলাপ করার বিষয়ে গত বছরের অক্টোবরেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এর আগে দুপক্ষের মধ্যে একটি নিরাপত্তা সংলাপ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

নিরাপত্তা সংলাপে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথাগত এবং অ-প্রথাগত নিরাপত্তা বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

ইইউ ২৭টি দেশের একটি জোট, সে কারণে হার্ডকোর মিলিটারি সহযোগিতা যেমন অস্ত্র ক্রয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যৌথ মহড়া বা এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তার অন্যান্য বিষয় যেমন মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ দমন, আকাশ নিরাপত্তা, অর্থ পাচার, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ইইউ এর পক্ষ থেকে তোলা হতে পারে।

তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হতে পারে সেগুলো দুপক্ষ বিভিন্ন ফোরামে বিক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করে থাকে। কিন্তু আমরা চাই সবগুলো একটি ফোরামে আলোচিত হোক।

রাজনৈতিক সংলাপ

গত বছরের অক্টোবরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলস সফরের সময়ে ইইউ’র সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

এ বিষয়ে আরেক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র দুটি বৈঠক হয়। একটি হচ্ছে জয়েন্ট কমিশন এবং অপরটি কূটনৈতিক কনসালটেশন। এর মধ্যে জয়েন্ট কমিশনে নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং কূটনৈতিক কনসালটেশনে পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, আমরা চাইছিলাম আমাদেরকে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক স্তরে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। সেজন্য আমরা রাজনৈতিক সংলাপ করতে সম্মত হয়েছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে ওই বৈঠকে সবকিছু নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ করার দরকার সেটি আমরা রাজনৈতিক সংলাপে করবো।

নতুন কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং কানেক্টিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা বিষয়টিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারতসহ অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত রাজনৈতিক সংলাপ হয়ে থাকে। এধরনের উদ্যোগ দুপক্ষের মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

শেয়ার করুন