দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে সমর্থন দিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২৬ মে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান, তার বোন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে নিয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কুমিল্লার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা হচ্ছে। একটা পরিচ্ছন্ন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, শান্তিপূর্ণ-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক আমরা সেটাই চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার বিপক্ষে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। শেখ হাসিনার প্রার্থীর পক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যার পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা কাজ করবেন। তারা সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা কথা দিয়ে গেছেন।’
এ সময় বাহাউদ্দীন নাছিম প্রয়াত আফজল খানের পরিবারকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক’ বলে আখ্যা দেন।
নাছিম বলেন, ‘আমাদের পার্টির সাধারণ সম্পাদক তাদেরকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যেই তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমরাও খুশি এবং আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল— তাদেরকে মর্যাদা ও সম্মান দিলে, তারা দলের নীতি আদর্শের প্রতি যেকোনও সেক্রিফাইস করতে পারবেন। তারা তাদের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেটি অক্ষুণ্ন রেখেছেন।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দৃষ্টান্তকারী নির্বাচন হবে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মেয়র পদে ১৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আরফানুল হক রিফাতের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।