ফরিদপুরে সংঘর্ষ, যুবকের মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত শরীফুল মোল্যা (২২) নামে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার (২৪ মে) এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) দিবাগত গভীর রাতে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীফুল। তিনি উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামের সাঈদ মোল্ল্যার ছেলে।

গত শনিবার (২১ মে) দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামের হুমাউন মোল্যার সমর্থকদের সঙ্গে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হুমাউন মোল্যার সমর্থক শরীফুলসহ দুজন গুরুতর আহত হন। আহত শরীফুল মোল্যাকে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পরে উন্নত চিকিতসার জন্য রাতেই শরীফুলকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সোমবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান শরীফুল।

এদিকে শরীফুলের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছলে মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে পাচুরিয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামে হুমাউন মোল্যার সমর্থকরা গিয়াসউদ্দিনের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সাত-আটটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবক শরীফুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শরীফুল অত্যান্ত ভদ্র ছেলে ছিল। সে এ বছর ডিগ্রি পাশ করেছে, চাকরির জন্য বিভিন্ন অফিসে আবেদন করছিল।

চেয়ারম্যান বলেন, শরীফুলের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশ ও আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, শনিবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে আহত শরীফুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন