জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তিনদিনের কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ফাইল ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার থেকে টানা তিনদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাঁর এবারের জন্মবার্ষিকীতে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’।

আজ ভোরে কর্মসূচিগুলোর শুরু হবে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায়।

universel cardiac hospital

কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে (টাউন হল) বেলা ১১ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ উপলক্ষে নজরুল মেলা, নজরুল বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুরে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ প্রথম দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। নজরুল স্মারক বক্তা থাকবেন লেখক ও নজরুল গবেষক এবং জাতীয় কবির দৌহিত্রী খিলখিল কাজী।

কুমিল্লায় দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ সদস্য আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের তেওতাতে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজন করছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক কবি কামাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক।

নজরুল ইনস্টিটিউট বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করেছে। নজরুল ইনস্টিটিউটসহ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর ও সংস্থা এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে। এ ছাড়া দেশের যে সব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সে সব জেলার জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবেন।

কবির স্মৃতিবিজড়িত জেলাগুলোসহ সব জেলায় তাঁর ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং বিভিন্ন সড়কে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে আজ থেকে।

শেয়ার করুন