জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জয়ন্তী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ফাইল ছবি

প্রেম, মুক্তি ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জয়ন্তী আজ বুধবার। তিনি শুধু বাংলা সাহিত্যে নন, বাঙালির রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনেও প্রভাব বিস্তার করেন।কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশে দিনটি উদ্যাপিত হবে নানা আয়োজনে। রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কবির সমাধি ছেয়ে যাবে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসার ফুলে ফুলে।

আমাদের জাতীয় কবি, আবালবৃদ্ধবনিতার প্রিয় নজরুল। নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

universel cardiac hospital

বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে নজরুল জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

শৈশব থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠেন তিনি। আর সেই পথপরিক্রমায় তিনি হয়ে ওঠেন অসাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী।

কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর পরিচিতি মূলত কবি হিসেবে। ১৯২২ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতা-সংকলন ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয়, যা বাংলা কবিতায় এক নতুন ধারার সৃষ্টি করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীপ্তিতে ভাস্বর বাংলা সাহিত্যের ভুবনে নজরুল স্বতন্ত্র ভাষারীতি ও শব্দের প্রয়োগে এক নতুন কাব্যধারার সংযোগ করেছিলেন। একইভাবে বাংলা গানের ক্ষেত্রেও তিনি নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিলেন। উত্তর ভারতীয় রাগ সংগীতের দৃঢ় ভিত্তির ওপর রচনা করেছিলেন আধুনিক বাংলা গানের সৌধ। প্রবর্তন করেছিলেন বাংলা গজল।

তাঁর রচিত ‘চল, চল, চল’ বাংলাদেশের রণসংগীত। প্রায় ৩ হাজার গান রচনা ও সুর করেছেন তিনি। ইসলামী সংগীত বা গজল রচনা করে তিনি নতুন এক ধারার সূচনা করেন। একই সঙ্গে সমানতালে রচনা করেন শ্যামাসংগীত।

১৯৭২ সালের ২৪ মে জাতির পিতা ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। ১৯৭৬ সালে কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। একই বছরের ২৯ আগস্ট মারা যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

নজরুলের প্রেম, বিয়ে বিচ্ছেদ, গ্রেপ্তার, সমাবেশ এবং কাব্য ও সংস্কৃতি চর্চাসহ বহু ঘটনার নীরব সাক্ষী কুমিল্লা শহর। সেই হিসেবে এবার সরকারি উদ্যোগে কুমিল্লায় কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান করা এবং প্রতিপাদ্য ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’ বিশেষ তাৎপর্যময়।

শেয়ার করুন