পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশ করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার প্রবেশের পর সেখানে সব রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার। ডনের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২৫ মে) দিনগত মধ্যরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার গাড়িবহরসহ ইসলামাবাদে পৌঁছান।
এদিকে, ইসলামাবাদের ডি–চকে পুলিশি বাধা ও গুলির মুখেও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। আর সেখানে জড়ো হওয়া কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আজাদি মার্চের (লং মার্চ) কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ইমরান।
এরই মধ্যে সেখানে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন টুইট করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রেড জোনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রেড জোনের মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, প্রেসিডেন্সি, পাকিস্তান সচিবালয় এবং কূটনৈতিক ছিটমহল।
এর আগে, ইসলামাবাদ অভিমুখে আসার পথে হাসান আবডালে যাত্রাবিরতি করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি বলেন, আমদানি করা সরকার নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমরা ডি-চক খালি করবো না।
বুধবার সকালে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাব থেকে সরকারের পদত্যাগ ও দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আজাদি মার্চের ডাক দেন ইমরান খান। কিন্তু আজাদি মার্চের শুরুতেই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও পিটিআই সমর্থকদের গ্রেফতার করা শুরু করে।
ওই সময় পুলিশ নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে অভিযোগ করে পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি বলেন, এটি কেবল আদালতের আদেশ অমান্য করাই নয়, এটি পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
এর আগে এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানিদের নিজ নিজ শহরের রাস্তায় নামার আহ্বান জানান ইমরান। ওই সময় ইসলামাবাদ অভিমুখে লং মার্চে সবাইকে ডি-চকে জড়ো হতেও বলেন তিনি।