সিলেটে বন্যার পানিতে প্রায় ১২ হাজার নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার প্রায় ৭৮ হাজার শৌচাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বাইরে জকিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬ হাজার ৫০০ মিটার পানি সরবরাহের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যার পানি অনেক এলাকা থেকে নেমে গেলেও বেশির ভাগ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত নলকূপ ও শৌচাগার সংস্কার হয়নি। ফলে সুপেয় পানির পাশাপাশি মানুষজন স্যানিটেশনের সমস্যায় ভুগছেন। যেসব এলাকায় এখনো পানি রয়ে গেছে, সেখানেও একই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
তবে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে সিলেটের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে। জেলার কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় এ কার্যক্রম চলছে। এ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রতি ঘণ্টায় ৬০০ লিটার পানি পরিশোধন করতে পারে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা এসব প্ল্যাট থেকে পানি বিতরণ করা হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, কানাইঘাটে ৯ দিন ধরে এবং গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে ৬ দিন ধরে এ কার্যক্রম চলছে। এর বাইরে জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষিত আরেকটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে নগরেও পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
বানভাসি মানুষ জানায়, জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার একাংশ এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। এসব এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, পানিতে নলকূপ ডুবে থাকায় বানভাসি মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছেন। বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে জেলার কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার প্লাবিত এলাকায়।