আজ ২৮ মে, শনিবার আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’। নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত নাইরোবি কনফারেন্সে প্রথম নিরাপদ মাতৃত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২০০০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু কমানো। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে অনুমোদন দেন। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয়।
২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের এ উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। নিরাপদ মাতৃত্বের কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন। এসব কার্যক্রমে ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমে। আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে।
গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতার কারণে বিশ্বে প্রতিদিন ৮৩০ জন নারী মারা যান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ২০১০ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু ছিল ১৯৪ জন। এক দশকে তা কমে ১৬৫ জনে নেমে এসেছে।
গত বছর মহামারির কারণে সীমিত আকারে পালিত হয় দিবসটি। এবার সংক্রমণ কমে আসায় নানা আয়োজনে এটি পালন হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর আজিমপুরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (এমসিএইচটিআই), দেশব্যাপী জেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৮ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বিশেষ সেবা দেওয়া হবে।