একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা বরেণ্য সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে যায়নি বিএনপি। তাদের এই না যাওয়ার মধ্য দিয়ে দলটির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সদ্য প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। আজ শনিবার বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দল, মত, সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
সেখানে হুইলচেয়ারে করে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কিন্তু তাঁর শেষ যাত্রায় সব দলের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে না, বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন।
জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো যখন এসব গুণীজনেরা জীবিত থাকেন, তখন আমরা তাঁদের মাথায় তুলে রাখি না। মানুষের দোষ–গুণ আছে। কিন্তু উনি বিরাট সাংবাদিক, আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে তাঁর বিখ্যাত গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”। তাঁর মতো গুণী ব্যক্তিকে তাঁর জীবিতকালে যথাযোগ্য সাহায্য ও সম্মান দিইনি। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপি যদি না এসে থাকে, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। গাফ্ফার চৌধুরী কেবল আওয়ামী লীগের না, সবার। আমার মতে, বিএনপির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দাফনের জন্য আজ বেলা ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিকেলে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।