নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ পেশি শক্তি দেখিয়ে ও সহিংসতা করে জয় লাভ করবেন—এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রোববার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘বর্তমান ইসির অধীনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন একটা মডেল হবে। এর জন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে। নির্বাচনে যেকোনো সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আর এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
প্রার্থীদের মধ্যে মিথ্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘নিজের নির্বাচনী অফিস নিজে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে তদন্ত করে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোটারদের মধ্যে ইভিএম বিড়ম্বনা দূর করতে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এনআইডি কিংবা অন্য উপায়ে ভোটার শনাক্ত নিশ্চিত হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না মিললেও ওই ভোটার ভোট দিতে পারবেন।’
বাংলাদেশে ভোটারের উপস্থিতি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর চেয়ে বেশি থাকে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই ভোটার উপস্থিতি যখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়, সেখানে আমাদের দেশে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশও উপস্থিত হয়ে যায়।’
মতবিনিময়ে মেয়র, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আতিক উল্লাহ খোকন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, নিজাম উদ্দিন কায়সার, কামরুল আহসান বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
কমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুর আলম মতবিনিময়ে বক্তব্য দেন।