ইউক্রেনে রুশ হামলার তিন মাস পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রাশিয়ার স্থলবাহিনী ইউক্রেনজুড়ে অনেক শহরে হামলা চালিয়েছে। হামলা হয়েছে আকাশপথেও। অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনারা অনেক জায়গায় পশ্চিমা সহায়তার অর্থ-অস্ত্রে রুশ বাহিনীকে রুখে দিয়েছেন। তিন মাস পর এসে রাশিয়া তার মনোযোগ ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে সীমাবদ্ধ করেছে।
এই অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় মস্কো। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, চলমান যুদ্ধ পূর্বাঞ্চলের দনবাস ঘিরে চললেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলের খারকিভ দখলের আশা এখনো ছাড়েননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সামরিক বিশ্লেষক মিখায়েল কোফম্যান গত সপ্তাহে এক টুইট বার্তায় বলেন, যুদ্ধের এখনকার পরিস্থিতি ইউক্রেনের অনুকূলে রয়েছে। রুশ বাহিনীকে রুখে দিতে দেশটির যথেষ্ট সেনা রয়েছে। এমনকি পশ্চিমা সামরিক সহায়তা পাওয়ার পথও উন্মুক্ত রয়েছে।
কিন্তু দনবাসের পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। এই অঞ্চলে পুতিনের লক্ষ্য কত দ্রুত অর্জিত হচ্ছে, সেটার ওপর ইউক্রেনের অন্যান্য অংশে রুশ বাহিনীর অবস্থান অনেকাংশে নির্ভর করবে। এর ভিত্তিতে চলমান যুদ্ধে মস্কোর লাভ-ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা হবে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে দনবাস অঞ্চলে রুশপন্থীদের প্রভাব ক্রমেই বেড়েছে। তাই এখন দনবাসে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান পুতিন। গত সপ্তাহ থেকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কে সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। সেখানে ১০ হাজার সেনা ও ২ হাজার ৫০০ সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো। চলছে গোলাবর্ষণ। শহরটির পতন ঠেকাতে তীব্র লড়াই করছেন ইউক্রেনের সেনারাও।
বিশ্লেষকদের মতে, সেভেরোদোনেৎস্ক রাশিয়ার দখলে গেলে পুরো লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে রুশ বাহিনীর দোনেৎস্ক নিয়ন্ত্রণের পথ সুগম হবে। মিখায়েল কোফম্যান বলেন, আমি মনে করি না যে রাশিয়ার আক্রমণের গতি মন্থর হয়ে এসেছে। তবে কখন চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হবে, সেটা অনুমান করা কঠিন।