ইউক্রেনে হামলার পরই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে এখনো একমত হতে পারেনি অঞ্চলটির দেশগুলো। আবারও তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। রোববার (২৯ মে) ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা ব্যর্থ হলেও সোম-মঙ্গলবারের সম্মেলনে ফের চেষ্টা করা হবে।
ইইউর একজন শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন যে, সোমবার বিকেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে একত্র হবেন। কিন্তু তার আগে একটি চুক্তির আশা করার মতো পরিস্থিতি এখনো রয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনো কঠোর অবস্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তেলের ওপর অবরোধ হবে অঞ্চলটির ষষ্ট নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ।
কিন্তু ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির কারণে মূলত নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজটি আটকে রয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, রুশ তেলে নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের অর্থনীতি ধসে পড়বে। কারণ রাশিয়ার বিকল্প এখনো পাওয়া যায়নি। স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর আগে বিদ্যুতের পর ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রাশিয়া। ইউক্রেন ইস্যুকে কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারণ এরই মধ্যে রুশ হুমকি উপেক্ষা করে ন্যাটোতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।