অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য উন্নয়ন অংশীদাররা বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের কার্যকলাপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য তারা বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে।

সোমবার (৩০ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাতে উন্নতি না করতে পারি এ জন্য তারা বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তারা প্রতিদিন এক একটা ইস্যু নিয়ে আসে। আমরা তাদের বলতাম উন্নয়ন অংশীদার। এখন উন্নয়নে এক পয়সাও দেয় না, খালি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

universel cardiac hospital

অন্যদিকে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তার জন্য যত ফরমায়েশ আছে সেগুলো দিচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশ প্রশ্নে উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্র এবং সংস্থাগুলোর উদ্যোগ ও নীতিগুলোই বড় প্রতিবন্ধক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে এটি আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য আমি বলবো তারা আগে নিজেদের ঘর সামলাক। ইউরোপ-আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি অত্যন্ত বেড়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতে চার গুণ বেড়েছে। আমাদের প্রবাসী বাঙালিরা হিমশিম খাচ্ছে।

রাশিয়ার তেল, গম কিনতে ভারতের কাছে ‘বুদ্ধি’ চায় বাংলাদেশ

এদিকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল ও গম আমদানিতে ভারতের পরামর্শ চেয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসাম সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। গৌহাটিতে নদী সম্মেলনের সাইডলাইনে অনানুষ্ঠানিক আলাপে আমরা এ বিষয়ে তার দেশের পরামর্শ চেয়েছি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারাও জ্বালানি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে।

রাশিয়া জ্বালানি তেল ও গম বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নিষেধাজ্ঞার জন্য সেটি নিচ্ছি না। ভারত কিভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে দিল্লির কাছ থেকে বাংলাদেশ তা জানতে চায় উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা বিভিন্ন কৌশল বের করেছে। আমরাও জানতে চেয়েছি সেটা কিভাবে করা সম্ভব। তারা কিভাবে ম্যানেজ করলো।

ভারত বড় দেশ হিসেবে এটি করতে পেরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ওপরে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় না। আমরা দরিদ্র, ছোট দেশ আমাদের ওপর করে। মাতবরি কিভাবে করছে সেটা আপনারা দেখছেন। সেটাতে আপনারাও (সাংবাদিকরা) উৎসাহ দেন।

শেয়ার করুন