সাঁওতালদের ফসলি জমিতে ‘ইপিজেড’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক

সম্পাদকীয়

ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলসহ ১৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ মিছিল
ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলসহ ১৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ মিছিল । সংগৃহীত ছবি

রক্তে ভেজা তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল ও আদিবাসীদের আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ১৬ দফা দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ মিছিল এবং গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সাঁওতালরা।

প্রসঙ্গত বলতে হয়, বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আবাদি বা ফসলি জমি যথাযথ ব্যবহারের তাগিদ দিচ্ছেন। আর এমন বাস্তবতায় আমরাও মনে করি, সাহেবগঞ্জ  এলাকায় সাঁওতাল-বাঙালিদের বাপ-দাদার সম্পত্তি তিন ফসলি জমিতে ‘রংপুর ইপিজেড’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে অন্য এলাকায় তা নির্মাণ করা হোক। কারণ দেশের চট্টগ্রাম, হাওরাঞ্চল ও বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও সহজ।

universel cardiac hospital

জানা যায়, এর আগে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর স্থানীয় চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসব জমি থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত ও ২০ জন সাঁওতাল আহত হন। তার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) কর্তৃপক্ষকে এখানে ইপিজেড বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেপজা সাহেবগঞ্জ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু স্থানীয় সাঁওতালরা এখানে ইপিজেড না করার জন্য আন্দোলন করছেন। চিনিকলের জমিতে ইপিজেড নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি। চিনিকলের জমিকে বাপ-দাদার সম্পত্তি দাবি করে তা ফেরত পেতে এই কমিটি গঠন করেন সাঁওতালরা। আমরা তাদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করি এবং সেইসঙ্গে ২০১৬ সালে সংঘটিত সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের সুবিচার দাবি করছি।

শেয়ার করুন