জিয়াউর রহমানকে একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল এই জিয়াউর রহমান। শুধু তা-ই নয়, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জোয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়া ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে, সে জন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি। গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। কিন্তু লক্ষ করে দেখবেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এরপর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও বিএনপি দুই দফা ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার তারা করে নাই।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইদানীং বিএনপি নামসর্বস্ব নানা দল―যে সমস্ত দলের সভাপতি আছে কিন্তু সাধারণ সম্পাদক কে তা কেউ বলতে পারে না, তাদের সাথে বৈঠক করছে। বিষয়টা হাস্যকর। এ সমস্ত সাইনবোর্ডসর্বস্ব দলের সাথে বৈঠক করে সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া আর কী হবে আমি জানি না। কারণ তাদের শুধু সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটো সাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করব, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়েঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য রাখেন। আলোকচিত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ১০০ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির ১০০ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৩ নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।