আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ৪ দিনের এই কর্মসূচি শেষ হবে ১৫ জুন। এ বছরের প্রতিপাদ্য শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জুমান আশরাফ সুইটি, ডা. শারমিন আহমেদ তিথি প্রমুখ।
ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা কেন্দ্রে এই টিকা খাওয়ানো হবে।
এই ক্যাম্পেইনে একটি শিশুও যাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে জন্য ৮ জুনের পর আরো ৪ দিন বাড়ি বাড়ি বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দূর্গম এলাকায় বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চল, হাওড়-বাওড় ও চর এলাকায় ইউনিয়ন ভিত্তিক বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। দেশে ভিটামিন এ -এর অভাব জনিত সমস্যা প্রতিরোধে সরকার বছরে ২ বার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে। এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ’র অভাব জনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব ১ শতাংশের নীচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। এই বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অপুষ্টি জনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা।