‘জিয়াউর রহমান জাতীয় ছিনতাইকারী’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, রাস্তায় যারা অস্ত্র ঠেকিয়ে জনগণের মালামাল ছিনতাই করে তাদের ছিনতাইকারী বলা হয়। এদের অনেককেই ছিঁচকে ছিনতাইকারী বলা হয়। যিনি রাষ্ট্রের গর্ব সেনাবাহিনীর কতিপয় সহকর্মীদের বিভ্রান্ত করে সশস্ত্র অবস্থায় রাতের অন্ধকারে বঙ্গভবনে গিয়ে প্রজাতন্ত্রের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমের বিছানায় বেয়াদবের মত পা তুলে দিয়ে, অস্ত্র ঠেকিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিনতাই করেছেন, নিঃসন্দেহে সেই জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ছিনতাইকারী হিসেবে জাতীয় ছিনতাইকারী বলা যায়। তিনি যে ছিনতাই করেছেন তা তৎকালিন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েম নিজেই তার লেখা বইয়ে অভিযোগ করেছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির লিখিত স্টেটমেন্ট কোনভাবেই প্রশ্নবোধক হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণ প্রদান করেন।

universel cardiac hospital

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের জাতীয় সম্পদ, আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতিষ্ঠান। তাদের ওপর দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত। এজন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সশস্ত্র বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে এবং আইনসঙ্গতভাবে অস্ত্র ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে, আর্মি রুলস রয়েছে। প্রত্যেক দেশপ্রেমিক সেনা সদস্য আর্মি রুলস এবং পবিত্র সংবিধান মান্য করতে শপথবদ্ধ।

তিনি বলেন, সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান শপথ ভঙ্গ করে আর্মি রুলস ও সংবিধান অমান্য করে কতিপয় সহকর্মী সেনা সদস্যকে বিভ্রান্ত করে আইনী অস্ত্রের বেআইনী ব্যবহার করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিনতাই করেছেন। তার এবং তার সহযাত্রী ছিনতাইকারীদের বিচার হওয়া উচিত।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুক পিঙ্কু।

স্থানীয় রায়পুর মার্চেন্ট একাডেমী মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জনাব হারুনুর রশীদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জনাবা ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, উপজেলা সাধারন সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকন প্রমুখ।

দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ সভাপতি এবং আলবাজ্ব রফিকুল হায়দার বাবুল পাটোয়ারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

শেয়ার করুন