‘পণ্যের দাম’ কমানোর বিষয়ে সুখবর দিতে পারছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফাইল ছবি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশে ‘পণ্যের দাম’ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বৈশ্বিক অবস্থাকে দায় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ডলারের দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশে পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে নতুন কোনো সুখবর নেই।

বুধবার (১ জুন) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালায় রংপুর বিভাগের প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন। কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অবস্থার কারণে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে আমদানীকারকদের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম বেড়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। এ বিষয়ে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে অভিযান চলছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশেও তেলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আমাদের দেশে তেলের লিটার ১৯৮ টাকা হলেও কলকাতায় আজকে ২১৫ টাকা লিটার জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সাংবাদিকরা শুধু- দেশে তেলের দাম বাড়ছে বলে প্রচার করলে জনগণ সঠিক তথ্য পাবে না। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ভারতে তেলের দাম কত সেটিও প্রচার করতে হবে। আমরা দোয়া করছি যেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধটা শেষ হয়। তাহলে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঁইঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মণ্ডল, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, স্থানীয় সরকার পরিচালক ফজলুল কবির ও রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

শেয়ার করুন