লর্ডসে কিউইদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ৮ রানে ৫ উইকেট হারালো ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ছবি : ইন্টারনেট

লর্ডসে পেসারদের আধিপত্যে কাটলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিন। যেখানে মাত্র ৭৬ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন ১৭ জন ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৩২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ইংল্যান্ড মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ৫টি উইকেট।

ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৬ রান। শেষ তিন উইকেট হাতে রেখে ১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। দলীয় ৯২ থেকে ১০০ পর্যন্ত যেতেই পাঁচটি উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে দিনের শেষভাগে কোনো বিপদ ঘটেনি তাদের।

নিউজিল্যান্ডের ১৩২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও অ্যালেক্স লিস। ক্রলি আউট হন ৪৩ রান করে। তিন নম্বরে নামা অলি পোপের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। একপ্রান্ত আগলে ধীরে সুস্থে খেলছিলেন লিস।

ইনিংসের ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন ১১ রান করা জো রুট। সেখান থেকে ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বল পর্যন্ত একে একে সাজঘরে ফিরে যান লিস (২৫), বেন স্টোকস (১), জনি বেয়ারস্টো (১) ও ম্যাথু পটস (০)। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা।

বেন ফোকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড মিলে দিনের বাকি ৩.১ ওভারে ১৬ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসন ও অভিষিক্ত ম্যাথ্যু পটসের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে টিকতেই পারেনি ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

অভিজ্ঞ অ্যান্ডারসন আর তরুণ ম্যাথ্যু পটস- দু’জনই সমান ভাগ করে নেন ৮টি উইকেট। এছাড়া স্টুয়ার্ট ব্রড এবং বেন স্টোকস নেন ১টি করে উইকেট। পেসারদের তোপে মাত্র ৪০ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড।

শুরুতেই টম ল্যাথাম আর উইল ইয়ংয়ের উইকেট হারিয়ে দুর্দশার শুরু। দুই ওপেনারই করেছেন ১টি করে রান। এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন এবং ডেভন কনওয়েও দ্রুত আউট হন। এ দু’জনের প্রথম জন ২ এবং পরেরজন করেন ৩ রান।

১২ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর যখন ধুঁকছিল নিউজিল্যান্ড, তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেল। কিন্তু ২৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মিচেল। এরপর ৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ব্লান্ডেল।

৪৫ রানের মাথায় পড়লো ৭ম উইকেট। কাইল জেমিসন আউট হন মাত্র ৬ রান করে। এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং টিম সাউদি মিলে খানিকটা বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান। এ দু’জন মিলে গড়েন সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি। ২৩ বলে ২৬ রান করেন টিম সাউদি।

এরপর ৭ রান করে আউট হন আইজাজ প্যাটেল। সর্বশেষ ১৬ বলে ১৪ রান করে যখন ট্রেন্ট বোল্ট আউট হন, তখনও অপরাজিত থেকে যান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ৪০ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

শেয়ার করুন