জাতীয় সংসদে আগামী ৯ জুন বিকেল ৩টায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
যে কারণে বাজেট পেশের আগে ও পরে মাঠ পর্যায়ের সকল কমিশনারেট, সকল বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেল দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বাজেট পাশের আগে ও পরে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে সামনে রেখে গত ২ জুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-
> মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কর্মকর্তাদের বাজেট ঘোষণার আগের দিন ৮ জুন কমিশনারেটের আওতাধীন সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য (সম্ভাব্য) সকল করদাতা, পণ্য সরবরাহকারীর প্রাঙ্গণ পরিদর্শন এবং পণ্যের সমাপনী স্থিতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে প্রত্যয়ন ও দস্তখত করবেন।
> বাজেট পেশকালে বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবনা বাজেট সংক্রান্ত দলিল প্রাপ্তির আগেই বাজেটে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্দেশে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর দপ্তর, সকল বিভাগ ও সার্কেলের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব-স্ব নির্ধারিত পোশাক পরিহিত অবস্থায় সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে।
> সদর দপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাজেট পেশের সময় সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাজেট পেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।
> বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসরণ করে যেসব পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে মূসক, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক নতুনভাবে আরোপ অথবা সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হবে সেসব পণ্য উৎপাদনকারী বা সেবা প্রতিষ্ঠান সনাক্তকরণপূর্বক তাদের সরবরাহযোগ্য ও খালাসযোগ্য পণ্য বা সেবার প্রকৃত মজুদের হিসাব গ্রহণ করতে হবে।
> রাজস্ব ফাঁকির কোনো সম্ভাবনা থাকলে সুনির্দিষ্ট পণ্যাগারকে সীলমোহরকৃত অবস্থায় রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যেই মজুদ গণনা সম্পন্ন নিশ্চিত করতে হবে।
> বাজেট পেশের দিন কোনো পণ্য খালাস বা সেবা প্রদান করা হলে বাজেটে প্রস্তাবিত হারে সম্পূরক শুল্ক ও মুসক প্রদেয় হবে।
> কমিশনারেটের অধীন সকল দপ্তরের বাজেট সংক্রান্ত দলিলাদি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হতে সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর উক্ত দলিলাদি বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেল দপ্তরগুলোর মধ্যে বিতরণ করতে হবে।
> কমিশনারেট, বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেল দপ্তরে যানবাহনগুলো সচল রাখা ও চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
> বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও তা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ১০ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় সকল সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে।
> বাজেট দলিলাদি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে কোনো মতামত ও পরামর্শ থাকলে তা লিখিতভাবে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে মতামত প্রেরণ করতে হবে।
> বাজেট পেশের আগে ও অব্যবহিত পরে সরকারের ঘোষিত রাজস্ব নীতি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এখন থেকে ১৫ জুলাই তারিখ পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনো প্রকার ছুটি গ্রহণ বা প্রদান বা কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি গ্রহণ বা প্রদান না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।