চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য কাজ করছে। উদ্ধার অভিযান ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
রোববার (৫ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা দলও নিয়োজিত রয়েছে। রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিস্ফোরণের কারণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিক সামগ্রী সমুদ্রে ছড়িয়ে যেন না সে ব্যাপারে কাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশও সহায়তা করছে। তাছাড়া, বিস্ফোরণে আহতদের সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিম গতকাল রাত থেকে কাজ করছে।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও সিএমএইচ-এ স্থানাস্তরে সেনাবাহিনী অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহায়তা করছে। এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৪ জন সদস্যসহ চট্টগ্রাম সিএমএইচে ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ওই বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।
এই ঘটনায় সর্বশেষ ৩৮ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে পাঁচ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।