চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসারতদের দেখতে সেখানে গেলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ তার রাজনৈতিক সহকর্মীদেরকে শারীরিক লাঞ্ছনা করার অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই মেডিকেল হাসপাতালের মূল ফটকে তাদের ওপর হামলা হয় বলে মত ও পথসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। কারা হামলা করেছেন, কেন করেছেন- এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম বলা যাচ্ছে না। তদন্তে প্রমাণ হওয়ার আগ এ বিষয়ে বলার সুযোগও নেই।
বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে সম্প্রতি সাতটি দল ও সংগঠনকে নিয়ে সম্প্রতি ‘গণতন্ত্র মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দেয় গণসংহতি আন্দোলন। বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের চট্টগ্রামের স্থানীয় পর্যায়ের ‘ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা’ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দল ও জোট ছেড়ে গেলে সাবেক দল ও জোটের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হওয়া, তাদের দ্বারা রাজনৈতিক নেতারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা দেশে অনেকবার ঘটেছে। যদিও কোনো ব্যক্তি কোন রাজনৈতিক দল করবেন, দল কোন জোটে থাকবে- সেটা তার বা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
জোনায়েদ সাকিকে শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনার পর থেকে সরকারবিরোধী দলের কোনো কোনো নেতা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, প্রতিপক্ষকে ‘ঘায়েল করার স্রেফ রাজনৈতিক বক্তব্য’। আওয়ামী লীগের মতো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের কেউ সাকি ও তার সহকর্মীদের লাঞ্চনার যৌক্তিক রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই। ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজে সংগঠনটির পদধারী কাউকে দেখাও যায়নি।
ছোট ও বড়- যে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকেই প্রকাশ্যে শারীরিক লাঞ্চনার ঘটনা কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তা কাম্যও নয়। তাই আমাদের দাবি, চট্টগ্রামের ওই ঘটনার তদন্ত হোক। একইসঙ্গে কোনো ঘটনা কেন্দ্র করে তদন্ত ও প্রমাণের আগেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপের রাজনীতিও বন্ধ হোক।