অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন তিনি। বাজেট পেশের সময় এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির কারণে শুধুমাত্র ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। নতুন ভিত্তিবছর অনুসারে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অতি দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছিলাম। ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোভিড-১৯-এর প্রভাব অব্যাহত থাকার পরও ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক চলকসমূহের গতিপ্রকৃতি দৃষ্টে প্রতিভাত হয় যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অব্যাহত থাকলেও অর্থনীতির উপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি কোভিড-১৯ অতিমারির প্রলম্বিত প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়। অনুদান বাদে এই বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।
এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সংগত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে।