চুয়াডাঙ্গায় শরীরে ফোসকা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে থাকা নারীর শরীরে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ পায়নি মেডিকেল বোর্ড। এটাকে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত একধরনের চর্মরোগ মনে হওয়ায় তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক আবুল হোসেন আজ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ সকালে ওই নারীকে বাড়ি থেকে এনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওই কক্ষেই রাখা হবে তাকে।
এর আগে এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান মুন্সী জেলার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসানের সঙ্গে পরামর্শ করে গতকাল বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন।
বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পরামর্শক ওয়ালিউর রহমান নয়ন ও ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সোহরাব হোসেন। তারা আজ সকাল থেকে কাজ শুরু করেন। পরীক্ষার জন্য রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
সদর হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, শরীরে বড় আকারের ফোসকা এবং জ্বর, ব্যথা ও সর্দি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ওই নারী। বহির্বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার তাকে জ্বর-ব্যথার ওষুধ দিয়ে সদর উপজেলার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।