বাজেট কৃষক-শ্রমিকদেরকে বাঁচার পথ দেখাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টনে গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফোরাম আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাজেটে জনপ্রশাসন, আমলা, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর জন্য ব্যয় হবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। চোখ বন্ধ করে বিভিন্ন দেশ থেকে যে ধার করেছেন, সেই ধার বাবদ যাবে প্রায় ১৬ শতাংশ। এর সবই শ্রমিক-কৃষকদের টাকা থেকে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, বাজেটে শ্রমিক-কৃষকের কথা না বলায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা না থাকায় আন্দোলন অব্যাহত রাখুন। কারণ কৃষক-শ্রমিকের মুক্তি না হলে দেশের মুক্তি হবে না।
তিনি বলেন, বাজেটে কৃষকের জন্য, শ্রমিকের জন্য কোথায় বরাদ্দ? উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের ঠিকই বরাদ্দ দিয়েছেন। এই বাজেট কৃষক-শ্রমিকদের বাঁচার পথ দেখাতে পারেনি।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশের প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। ঢাকায় বাবা-মা-সন্তানসহ তিন জনের পরিবারের খাবার খরচ যায় মাসে ২১ হাজার টাকা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, সরকারি মাস্তানের খরচ—এই সব মিলিয়ে কত টাকা লাগে, তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় বোঝেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য অবশ্যই অভিনন্দন জানাই, তবে খোলা মনে অভিনন্দনটা জানাতে পারছি না। ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকায়। হতে পারে খরচ বেড়েছে, জীবনযাত্রার সবকিছুরই দাম বেড়েছে। কিন্তু অনুগ্রহ করে হিসাবটা দেন।
গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলীম স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়া প্রমুখ।