মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত কয়েক শ মুসল্লি দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদের জানানোর। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে আরও বড় সমাবেশ আয়োজনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর রহিম মেটাল জামে মসজিদ-সংলগ্ন সড়কে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ মসজিদটির আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন আশপাশের কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিরা।
বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজক রহিম মেটাল জামে মসজিদের খতিব মাহমুদুল হাসান মমতাজী বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে দুইভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ করতে হবে। প্রথমত, ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো। দ্বিতীয়ত, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করা।
বিক্ষোভে ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবি তোলা হয়। এ ছাড়া আরও নানা স্লোগান দেওয়া হয়— ‘বয়কট বয়কট, ইন্ডিয়া বয়কট’, ‘বিজেপির কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘দ্বীন ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘নবীর অবমাননা, সইব না, সইব না’, ‘নূপুর শর্মা, নূপুর শর্মা, গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার’।
মাহমুদুল হাসান মমতাজী বলেন, মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হয়েছে, তাই তারাও শামিল হয়েছেন।
লিচুবাগান মসজিদের খতিব আল আমিন বলেন, তারা প্রত্যাশা করেছিলেন, দেশের সরকার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে প্রতিবাদ করবে। কিন্তু করেনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে আশপাশের কয়েকটি মসজিদ থেকে খতিব, মুসল্লিরা যোগ দেন সমাবেশে। মসজিদগুলো হলো- বাবলি মসজিদ, জিএমজি মসজিদ, নাখালপাড়া মসজিদ, বায়তুল নূর মসজিদ, নূরানী মসজিদ, নাখালপাড়া বড় মসজিদ, লিচুবাগান মসজিদ, চ্যানেল আই মসজিদ, আল ফালাহ মসজিদ, নিকেতন মসজিদ, কুনিপাড়া মসজিদ, হ্যাপি হোমস মসজিদ।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা নূপুর শর্মা। এরপর বিশ্বের কয়েকটি মুসলিম দেশে প্রতিবাদ হয়। মন্তব্যের সপ্তাহখানেক পর নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির পুলিশ।