পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর সমালোচনাকারীদের দেশপ্রেম নেই। তারা জাতির শত্রু। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। প্রমাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে ওয়াদা করেন, তা বাস্তবে পরিণতও করেন।’
শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসের প্রতীক। পদ্মা সেতুর আরেক নাম বাংলাদেশের সক্ষমতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। পদ্মা সেতু হচ্ছে দাবায়ে না রাখার প্রতীক। পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশ্ববাসী প্রশংসা করছে।’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। এখন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, খালেদা জিয়া নাকি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। অথচ তাদের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা বলেছেন, খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেননি। বিএনপির কাজই মিথ্যাচার করা।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। বিশ্বব্যাংক দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অযথা একটি নোংরা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল মনগড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে। বেলাশেষে সেই অভিযোগ কানাডার আদালতসহ কোথাও টেকেনি। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা করেন। সেসময় অনেকেই বিদ্রুপ করেছিলেন। কিন্তু পদ্মা সেতু আজকে বাস্তবতা। আজকে সেই সেতু শুধু সেতু নয়, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে এনামুল হক শামীম বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলাই হচ্ছে সাংবাদিকদের কাজ। সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করলে সরকার সংশোধনের সুযোগ পায়। কিন্তু মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরলে গণমাধ্যমেরই ক্ষতি হয়। সাংবাদিকরা রাজনীতিবিদদের পরমবন্ধু। দুঃসময়ে আমাদের পাশে থাকেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকবান্ধব সরকার। এ সরকারই একমাত্র সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছে। অন্যরা সাংবাদিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হক চঞ্চলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী, শরীয়তপুর সমিতি ঢাকার সভাপতি আনিছুর রহমান পাহাড়। বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাজু আলীম, বর্তমান সহসভাপতি আব্দুস সালাম, বেনজির আহমেদ, রেজাউল হক রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজম, বোরহান উদ্দিন, দফতর সম্পাদক এফ রহমান রুপকসহ আরও অনেকে।